মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সরকারের উন্নয়নের দ্বারা অব্যাহত রাখতে গত ৬মে কক্সবাজারে আসেন। কক্সবাজারে এসে সমুদ্রে নামবেন প্রধানমন্ত্রী তাতো হয়না! জেলাবাসীর প্রতি আন্তরিকতা ও কক্সবাজারের প্রাকৃতির ভালবাসার বহিপ্রকাশ হিসেবে তিনি খালি পায়ে সমুদ্রের স্নিগ্ধ জলের স্পর্শ অনুভব করলেন। আন্তারীকতার সাথে উপভোগ করলে কক্সবাজারের প্রকৃতিক সৌন্দর্য। ছোটবেলায় প্রধানমন্ত্রীর পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমনের সাথে কক্সবাজারে বেড়াতে আসার কথাও মনেপড়ে গেল তখন। পরক্ষণে উদ্বোধন করে গেলেন ডজনাধীক উন্নয়ন প্রকল্প। সবমিলিয়ে কক্সবাজারবাসীর জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আসছিলেন আশীর্বাদ স্বরূপ।
কিন্ত আমরা কক্সবাজারবাসী কিছুই দিতে পারিনি এই দেশ প্রধানকে। পেরেছি একটি পরিচয় তাহল সারাদেশে ইয়াবা পাচারক। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যের একপর্যায়ে বলেছিলেন, কক্সবাজার থেকে নাকি সারা দেশে ইয়াবা পাচার হয়। তা অবশ্য শতভাগ সঠিক। প্রতিদিন পত্রিকার পাতা খুললেই দেখা যায় ইয়াবাসহ আটকের ঘটনা। এমনকি পানের বরজ থেকে ইয়াবার উদ্ধার, ইয়াবা সহ নারী গ্রেপ্তার, ধান ক্ষেতে পরিত্যাক্ত ইয়াবা, হোটেলে ইয়াবা, ক্ষেত-খামারে ইয়াবা ইত্যাদি। বিক্রেতার পকেটে ছাড়াও এই ইয়াবা পাচারের মাধ্যম হচ্ছে অনেকসময় পায়ের জুতা, মানুষের মলদ্ধার, মেটর সাইকেল, মালবাহী ট্রাক সহ আরো কত কি! মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এই বক্তব্যে কক্সবাজারবাসীর লজ্জা হওয়া উচিত। কেননা প্রধানমন্ত্রী বুঝতে পেরেছেন একটি জাতী বা দেশ ধ্বংস করতে হলে তার যুব সমাজকে ধ্বংস করাই যথেষ্ট। তাই তিনি ইয়াবা বিষয়ে কঠোর হুশির করে দিয়ে গেলেন। বলে গেলেন এই ইয়াবা ব্যবসায়ীদের কোন ছাড় দেওয়া হবে না। শুধু তাই নয়, কক্সবাজারেও বিভিন্ন উপজেলা সহ আনাচে কানাচে ইয়াবা পাচার, ইয়াবা সেবনের খবর পাওয়া যায়। এবিষয় সঠিক তথ্য সহকারে গনমাধ্যম কর্মী সহ প্রশাসনকে খবর দিন। এতে প্রয়োজনে আপনার নাম-ঠিকানা গোপন রাখতে বাধ্য তারা। সুতরাং আসুন দেশের স্বার্থে জাতীর স্বার্থে জীবন ধ্বংসকারী ইয়াবা নামক মরণ নেশা থেকে কক্সবাজার তথা বাংলাদেশকে রক্ষা করি।

মোঃ নিজাম উদ্দিন 
চকরিয়া (দক্ষিণ) প্রতিনিধি- দৈনিক রূপালী সৈকত,
কক্সবাজার।।